স্বদেশ ডেস্ক:
লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে নিজ বাসভবন ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সাম্প্রতিক হামলায় আলখাদ্বিরা অঞ্চলের উত্তরে কাইসারিয়া এলাকায় অবস্থিত নিজ বাসভবন ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেন তিনি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়ালার বরাত দিয়ে এমনটা দাবি করেছেন সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন।
এর আগে ইরানি হামলা থেকে বাঁচতে পালাচ্ছেন নেতানিয়াহু এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। পরে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ফ্যাক্টচেকে বেরিয়ে আসে যে তিনি ভিডিও ২০২১ সালের। পার্লামেন্টে দৌড়ে ঢুকছেন নেতানিয়াহু, কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে নয়।
তবে হিজবুল্লাহর হামলার প্রেক্ষিতে তার যে পালিয়ে যাওয়ার দাবি করা হচ্ছে সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হিজবুল্লাহর কাছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এখন সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ। এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা। গত শুক্রবার বৈরুতে এক হামলায় হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১৯৭৪ জন নিহত হয়েছেন।